চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেললাইনসহ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও মাতারবাড়িতে নির্মানাধীন বড় বড় বেশকয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। পরবতী নিজের গড়া উন্নয়ন দেখতে মাতারবাড়ি সফর করবেন। সফরকালে তিনি মাতারবাড়ির বিভিন্ন উন্নয়নযজ্ঞ ঘুরে দেখবেন। এবং ‘মাতারবাড়ি টাউনশীপ’ এলাকায় ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে রেকর্ড হিসেবে দেখতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। এ বিশাল জনসভা সফল করার লক্ষে জনগণের সাথে গণসংযোগ ও প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সাবেক জজ আমিনুল হক। তিনি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সাবেক জজ আমিনুল হক গত এক সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দুই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের কোন না কোন গ্রামে ও হাট বাজারে গিয়ে সাধারণ ভোটারদের সাথে কুশলবিনিময়, গণসংযোগ এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাচ্ছেন। এসময় বর্তমান সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন তিনি। চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে জনগণের মাঝে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গনসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে জনগনের মাঝে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার পাশাপাশি একই সাথে দেশের মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন চলমান রাখতে আবারও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন জনগণের কাছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা স্টেশন, বাংলাবাজার, ডেমুশিয়া ও বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেন।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক জজ আমিনুল হক বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ির প্রধানমন্ত্রী জনসভা সফল করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের মানুষের জন্য অভাবনীয় যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ করেছেন তার জন্য আমি সরকার প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কাজ সারাদেশের মানুষ ভোগ করছেন। তার দুরদর্শী চিন্তায় দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার পাশাপাশি নতুন করে স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও স্মার্ট রাষ্ট্র গড়তে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা হলো একজন সেবক ও উদার রাষ্ট্র নায়ক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নিকট বাংলাদেশ এবং এদেশের জনগণ নিরাপদ। আর মানুষ যে আওয়ামী লীগের কাছে নিরাপদ এটি সবাইকে জানাতে চাই। আমি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে অংশ গ্রহণ করতে চাই। মানুষের পাশে থাকতে চাই। তাই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে আমি বদ্ধপরিকর। আমি বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী, তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।
এদিকে, রবিবার সকালে দিকে অবসরপ্রাপ্ত জজ আমিনুল হক উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে গেলে সেখানে তিনি স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও জনগনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং মতবিনিময় সভা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা মোক্তার আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে, বদরখালী ইউনিয়নে গেলে সেখানে তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাক্ষাত করেন বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরে হোছাইন আরিফের সাথে। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপস্থিত জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত করেন এবং আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে পূনরায় ক্ষমতা আনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।
পাঠকের মতামত: